বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন শুনানি শুরু হয়। খালেদার পক্ষে আদালতে রয়েছেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও এ এফ হাসান আরিফ।
শুনানি শুরু করেছেন খালেদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতে নথি তলব করেন। এ নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠাতে হবে।
ওইদিন জামিন আবেদনের শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করেন আদালত।
আরও পড়ুন>>
** হাইকোর্টে খালেদার জামিন শুনানি দুপুর ২টায়
জামিনের জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৩২টি যুক্তি দেখিয়েছেন। যুক্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জাটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন।
তাছাড়া ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক এসব জাটিলতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আবেদন জানানো হয়।
তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ওইদিন বলেন, ‘প্রত্যেক যুক্তির বিরুদ্ধে আদালতে জবাব দেওয়া হবে। ’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন।
একই সঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
ইএস/এমএ/