নথি না আসায় রোববার (১১ মার্চ) আদেশের দিন পিছিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার দুপুর দুইটায় এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘নথি না আসলেও আদালত ইচ্ছা করলে আদেশ দিতে পারেন। ’ এসময় আদালত বলেন, ‘এর আগে আমরা নথির বিষয়ে আদেশ দিয়েছি, সেটি দেখতে হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি আদেশ হয়েছে, দিনে দিনে তো আর আদেশ গিয়ে পৌঁছায় না। যদি ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশ গিয়ে পৌঁছায় তাহলে আজ ১৫দিন শেষ হওয়ার কথা। তাই আগামীকাল (সোমবার) আদেশের জন্য রাখলাম। ’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের যে নথি ১৫ দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে, সে নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে নথি নিয়ে আদালতের আদেশের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে খালেদার আইনজীবীরা একটি মেনশন স্লিপসহ আবেদন উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (১১ মার্চ) দিন ধার্য করেন।
এর আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজআদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেন। সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
আরএম/ইএস/এসএইচ