বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ এর ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার (১৪ মার্চ) এ রায় দেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
একইসঙ্গে পরিবেশ আইনের ৭ ধারা অনুসারে মাটি ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশালের সন্ধ্যা নদী ভরাট করে আবাসন প্রকল্প তৈরির সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। রুলের জবাবে বরিশালের জেলা প্রশাসকের পক্ষে সরকার পক্ষ এফিডেভিট দাখিল করে প্রকল্পের পক্ষে শুনানি করেন।
বাদীপক্ষের কৌসুলী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান অনুসারে নদীর জায়গা ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ না থাকলেও সরকার সন্ধ্যা নদীর জায়গা দখল করে আবাসন প্রকল্প তৈরি করে তা কার্যকর করছিলো।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা লংঘন করে সন্ধ্যা নদীর জায়গায় আবাসিক প্রকল্প তৈরির জন্য প্রথমে মাটি ভরাট, তারপর আবাসন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বে-আইনি।
হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো হলো- সন্ধ্যা নদীর সিএস এবং আরএস অনুসারে ৩ মাসের মধ্যে জরিপ সম্পাদন করে অবৈধ দখলকারীদের তালিকা প্রস্তুত, চার মাসের মধ্যে সন্ধ্যা নদীর জায়গায় মাটি ভরাট/দখল/স্থাপনা অপসারণ/উচ্ছেদ, আইন অনুযায়ী উক্ত প্রকল্পে যে সব গরিব লোকদের আবাসনের প্রস্তাব ছিলো তাদেরকে অন্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করতে হবে।
এছাড়া নদীর জায়গায় ‘কাজলাহার আশ্রায়ন’ প্রকল্প গ্রহণ ও কার্যকরী করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট, আইন ভঙ্গ করে নদীর জায়গায় মাটি ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ডিজিকে পরিবেশ আইনের ৭ ধারা অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ, সন্ধ্যা নদীর প্রকৃত সীমানা সংরক্ষণে বিবাদীদেরকে ব্যবস্থা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদী রক্ষায় মনিটরিং কমিটি করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
ইএস/জেডএস