এছাড়া আসামি নাইমকে ১০হাজার টাকা জরিমানা ও অন্য আরেকটি ধারায় তিনবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
রোববার (২৫ মার্চ) সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একে এম এনামুল হক এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. নাইম ওরফে মহিউদ্দিন নাইম গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার চত্বর এলাকার আব্দুর গফুরের ছেলে।
নিহত জুলহাস মোল্লা (১৮) গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার হাতিয়াব এলাকার মো. চুন্নু মোল্লার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জুলহাস মোল্লা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে খেতে বাসায় না আসায় বিকেল ৩টার দিকে তার বাবা তাকে মোবাইলে ফোন করে তার মোবাইল বন্ধ পান। পরে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানায় এবং তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে হাতিয়াব নোয়াইলের টেক এলাকায় একটি গজারিবনে জুলহাসের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা।
নিহতের বাবা জানতে পারেন নাইম ওরফে মহিউদ্দিন নাইমসহ আরো তিনজন জুলহাসের অটোরিকশাটি হাতিয়াব খিলপাড়ার উদ্দেশে ভাড়া নিয়েছিল। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে নাইমসহ ওই তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম ও জেলা গেয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান মামলাটি আংশিক তদন্ত করেন। একপর্যায়ে তদন্তের জন্য মামলার তদন্তভার সিআইডিতে স্থানান্তরিত হয়। পরে সিআইডির পরিদর্শক খোন্দকার জাহাঙ্গীর কবীর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত এ রায় দেন। দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য ৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বিষয়ট নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিজ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে মো. আতাউর রহমান, গাজী মো. পারভেজ আলম ও মাহমুদা সিদ্দিকা মামলাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
আরএস/এএটি