ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পেছালো বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার শুনানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
পেছালো বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলার শুনানি

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির জন্য আগামি ২৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার ২৫ (মার্চ) মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলা হাইকোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। ঢাকার ২য় বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির ২৬ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।

 

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দেন।

এ মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। এদের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মারা গেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার।

খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক ‍মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।  

ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  

চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভুইয়া এবং পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগেই মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র করলে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেন।  

দরপত্রগুলো কারিগরি ও আর্থিকভাবে যাচাইয়ের জন্য একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি ড. আনোয়ারুল আজিমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।  

কমিটি শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়ামকে প্রথম, সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোর্টিয়ামকে দ্বিতীয় ও সিএমসি কনসোর্টিয়ামকে তৃতীয় করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়াম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় সিএমসিকে একই মূল্যে ও শর্তে কাজটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সিএমসি একই মূল্যে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় সময় স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে আসামিরা পুনঃদরপত্র আহবান না করে সিএমসি’র দাখিল করা মূল্যে ও শর্তে তাদের কার্যাদেশ প্রদান করেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, পুনঃদরপত্র আহ্বান না করে সিএমসি দাখিল করা মূল্যে ও শর্তে তাদের কাজ দেওয়ায় সরকারের ১৫৮ কোটি, ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩ টাকা ক্ষতি হয় এবং আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তা আত্মসাত করেন।  

ঘটনার সময় খালেদা জিয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তার জ্ঞাতসারেই পুনঃদরপত্র ছাড়ায় সিএমসিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।