ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ওয়াহিদুলের জামিন নিয়ে রুলের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
ওয়াহিদুলের জামিন নিয়ে রুলের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে

ঢাকা: এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালের জামিন বাতিলের রুল শুনানিকালে উত্থাপিত আইনি প্রশ্ন নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের কথা বলে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আদালত বলেন, বিশেষ আইনের মামলায় বিচার শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আছে কিনা, এ বিষয়ে হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চের একাধিক মতামত রয়েছে।

তাই জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগে আইনি বিষয়টি নিষ্পত্তি জরুরি। এটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা যেতে পারে। এ কারণে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হলো।
 
গত ২১ মার্চ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়ের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। এর আগে ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের জামিন বাতিলে রুল জারি করেছিলেন।
 
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন আসাদুর রউফ ও শেখ বাহারুল ইসলাম।  
 
২১ মার্চ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গ্রেফতারের দুই ঘণ্টার মাথায় জামিন দেওয়া নজিরবিহীন। এটা সঠিক হয়নি। তাই জামিন বাতিলের আর্জি জানিয়েছি।  
 
২৫ জানুয়ারি বিচারিক আদালত এই দু’জনকে জামিন দেন।
 
২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান মতিঝিল থানায় আটজনকে আসামি করে মুদ্রাপাচার আইনের এ মামলা দায়ের করেন।

ওইদিন বিকালে রমনার মৎস্যভবন এলাকা থেকে ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে ওইদিনই দু’জনকে জামিন দিয়ে একজন রিমান্ডে পাঠান আদালত।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮ 
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।