বুধবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, বিশেষ আইনের মামলায় বিচার শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আছে কিনা, এ বিষয়ে হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চের একাধিক মতামত রয়েছে।
গত ২১ মার্চ রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়ের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। এর আগে ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের জামিন বাতিলে রুল জারি করেছিলেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন আসাদুর রউফ ও শেখ বাহারুল ইসলাম।
২১ মার্চ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গ্রেফতারের দুই ঘণ্টার মাথায় জামিন দেওয়া নজিরবিহীন। এটা সঠিক হয়নি। তাই জামিন বাতিলের আর্জি জানিয়েছি।
২৫ জানুয়ারি বিচারিক আদালত এই দু’জনকে জামিন দেন।
২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান মতিঝিল থানায় আটজনকে আসামি করে মুদ্রাপাচার আইনের এ মামলা দায়ের করেন।
ওইদিন বিকালে রমনার মৎস্যভবন এলাকা থেকে ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে ওইদিনই দু’জনকে জামিন দিয়ে একজন রিমান্ডে পাঠান আদালত।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
ইএস/এএ