বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় অভিযুক্ত আমিনুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মোসলমারী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রায়হান কবীর (২২) এর সঙ্গে মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান আটফুনিয়ার চর গ্রামের আব্দুস সোবহানের মেয়ে রুপালি বেগমের পারিবারিক আলোচনায় বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুপালির সঙ্গে আমিনুল অসদাচারণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে রুপালি অতিষ্ঠ হয়ে তার স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। এবং সেখানে একটি কণ্যা সন্তান প্রসব করে। ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রুপালি তার স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসলে এনিয়ে বিকেলে নিজ বাড়িতে আমিনুলের সঙ্গে ছেলে রায়হানের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আমিনুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রায়হানকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই রায়হানের স্ত্রী রুপালি বেগম বাদী হয়ে আমিনুলকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী সরকার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রায় তিন বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার বিচারক আমিনুল ইসলামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের রায় দেন।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল হায়দার খান খোকন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এএটি