মঙ্গলবার (০৮ মে) এ মামলার সাক্ষীকে জেরা করেছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা।
বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে এ মামলার বিচারিক কাজ বুধবারও চলবে।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর তারেক মাসুদের ক্ষতিপূরণ মামলায় ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আদালতে বাদী পক্ষে ছিলেন রমজান আলী সিকদার, মোতাহার হোসেন ও বিলকিস আক্তার মিলি।
চুয়াডাঙ্গা বাস মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।
পরে রমজান আলী সিকদার বলেন, মঙ্গলবার ৩ নম্বর সাক্ষী দিলারা বেগম জলিকে জেরা করেছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী। এছাড়া চার নম্বর সাক্ষী ঢালী আল মামুনের সাক্ষ্য চলছে। বুধবারও ঢালী আল মামুনের সাক্ষ্য হবে।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
এরপর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দু’টি মামলা করেন।
সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে এ দু’টি মামলা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও ছেলে সুহৃদ মুনীর দু’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ রুলের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর দুই আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
পরে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলা দু’টি শুনানির জন্য আসে। এর মধ্যে ৩ ডিসেম্বর তারেক মাসুদের ক্ষতিপূরণ মামলায় ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ