আদালতে নির্বাচন কমিশেনের পক্ষে শুনানি করেছেন মো. ওবায়দুর রহমান (মোস্তফা)। হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন, জাহাঙ্গীরের পক্ষে এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটকারী সুরুজের পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
আদেশের পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। মানুষ এখন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ায়, ধানের শীষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গভীর ষড়যন্ত্র ছিলো সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এ আদেশের ফলে আমি সন্তুষ্ট। এখন গাজীপুর বাসী ভোট দিবে। আশা করি নৌকা জয়যুক্ত হবে।
আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় গাসিক নির্বাচন স্থগিত করে গত ৬ মে রুলসহ একটি আদেশ দেন হাইকোর্ট। সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থগিত করার পাশাপাশি রুলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে শিমুলিয়ার ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা কেন বেআইনি হবে না- তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চান।
পরে ৭ মে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার। তার মতো একই পথে হাঁটেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও।
দু’জনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৮ মে) চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। পরে বুধবার ইসির আবেদনের কারণে শুনানি একদিন পেছানো হয়।
বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশের পক্ষে বিপক্ষে শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
ইএস/এএ