এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে রোববার (১৩ মে) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ২০ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, একইসঙ্গে আজিজুল হকের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তারও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, শ্মশান দখল করা নিয়ে ২০১৬ সালের ২৬ জুন একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট করে। এ রিট আবেদনে ওই বছরের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে। এ রুলের ওপর শুনানির সময় রোববার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তলব করা হয়েছে।
‘শতবর্ষী শ্মশান দখলে আওয়ামী লীগ নেতা’ শীর্ষক শিরোনামে ২০১৬ সালের ২৬ জুন প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হকের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতবর্ষী শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এরইমধ্যে শ্মশানের একাংশে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সেখানে মার্কেট নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে’।
‘সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে চলছে এই দখল কার্যক্রম। করতোয়া নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে এই শ্মশানের পাশে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন একটি বটগাছ ছিল। তার নিচে চলত হিন্দুদের পূজা-অর্চনার কাজ। সম্প্রতি ঝড়ে গাছটি ভেঙে পড়লে শ্মশানের দক্ষিণ ভাগের অংশটি ফাঁকা হয়ে যায়। পাশে একটি সাইনবোর্ডে লেখা, বানাইল মহাশ্মশান, বানাইল পৌর এলাকা, শিবগঞ্জ, বগুড়া। প্রতিষ্ঠা ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ সৎকার করা হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
ইএস/জেডএস