রোববার (১৩ মে) দুপুরে বৃষ্টির সময় আদালত ঘুরে দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচটি এজলাসে মোবাইলের আলো কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। কোনও কোনও ম্যাজিস্ট্রেট মামলার শুনানিও গ্রহণ করছেন।
আইনজীবী আজাদ রহমান বাংলানিউজকে বলছিলেন, এজলাসে বিকল্প কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। কোর্টগুলোতে একটি করে চার্জার লাইট দিলেও অন্ধকার দূর হতো। কিন্তু আদালতে সে ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাশেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে। যতদিন সে ভবনে যাওয়া না হচ্ছে অন্তত ততদিন অস্থায়ী এ আদালতের পরিবেশ একটু উন্নত হওয়া দরকার।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও পুরাতন জজ কোর্টের মাঝামাঝি মাঠে খুবই সীমিত জায়গায় পরপর ছয়টি এজলাস রয়েছে। এজলাসের সামনের বারান্দাও অনেক ছোট। কোর্ট শুরু হলে সব আসামি যখন হাজিরার জন্য উপস্থিত হয় তখন এক অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ছয়টি কোর্টের কয়েকশ’ আসামি প্রচণ্ড গরমে ছোট বারান্দায় গাদাগাদি করে অবস্থান নেন। এজলাসেও তিল ধারণেরও ঠাঁই থাকে না।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান, শাহজাদি তাহমিনাসহ ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইলের আলো বা মোমবাতির আলোতে সাক্ষ্যগ্রহণসহ বিচার কাজ পরিচালনা করতে দেখা যায়।
আদালতটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিন ও নাজির মো. আরিফের রুমসহ অনেক স্থানে টিনের চাল চুইয়ে চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। বৃষ্টির দিনে তারা রুমে বসতে পারেন না। নথিপত্র ভিজে যায়। সবকিছুই রাখতে হয় উঁচু স্থানে। বৃষ্টির পানি জমে চেয়ার টেবিলের পায়াও পচে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটি নাজির সাহেবের কাজ। আর নাজির আরিফের রুমে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এমআই/এইচএ/