এই তিনজনের আপিল শুনানি ও খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে জারি করা রুলের শুনানি একই সঙ্গে নেবেন আদালত।
খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
আর মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
এই মামলায় উচ্চ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, এই মামলায় দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে তিনজন কারাবন্দি। বাকিরা পলাতক। এরই মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
‘এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। ’
এখন খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে বাকি দুই আসামির আপিল ও দুদকের রিভিশনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি একসঙ্গে হবে বলে জানান দুদকের এই কৌঁসুলি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন আদালত।
এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
এদিকে আপিলের পর খালেদা জিয়া জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে, যার ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। ওই আপিলের ওপর রায় ১৫ মে ঘোষণার দিন ধার্য রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
ইএস/এমএ