রোববার (২০ মে) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম মোসা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
বাচ্চু মিয়া হত্যাকাণ্ডে মামলার মোট আসামি ১১ জন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মারুফ হোসেন (২৪), টিটু (২১) ও লিটন (২০)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আমজাদ হোসেন লিটন (২১), সাব্বির (২২), আব্দুল গণি (২২), ওয়াসিম কসাই (২৫), সম্রাট (৩০), নান্টু (২০) ও নবাব (৩৩)। আসামিদের মধ্যে টিটু, লিটন, সম্রাট ও নবাব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা পলাতক।
আসামিরা সবাই কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বাস করলেও বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ২০০৬ সালের ১৮ জুন সকালে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের একযুগ পর রোববার এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ২১ সাক্ষির মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সুলতান উদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও মাদক ব্যবসায় লিপ্ত ছিল। আসামিদের ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পেত না। ভিকটিমের বড় ভাই সিরাজুল ইসলামেরও এলাকায় ঢেউটিনের দোকান ছিল। ডাকাত শহিদ ও তার দল সিরাজুল ইসলামের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে শহীদের নির্দেশে তার সহযোগীরা সিরাজুল ইসলামকে ভয় দেখাতে তার দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকা তার ভাই বাচ্চু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার দায় স্বীকার করে আসামি টিটু ও লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমআই/ওএইচ/