সোমবার (২১ মে) কমিশনার আরিফের পক্ষে তার আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেন। তার পক্ষে যুক্তি উত্থাপন শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবারও (২২ মে) এ যুক্তিতর্ক উত্থাপন করা হবে।
মামলার প্রধান প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহযোগী আইনজীবী একরামুল হক শ্যামল বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার যুক্তিতর্কের ৭৮তম দিনে কমিশনার আরিফের পক্ষে শুনানি হয়। মঙ্গলবারও তার পক্ষে যুক্তি উত্থাপন চলবে।
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ যুক্তিতর্কের শুনানি হয়।
মামলার ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৬ আসামির যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
মামলাটি প্রমাণে মামলার ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এ মামলায় মোট আসামি ছিল ৫২ জন। ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
এছাড়া মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ১২ এপ্রিল রাতে; তাই বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৯ জন।
৪৯ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৮ জন পলাতক ও ২৩ জন হাজতে রয়েছেন।
এ মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।
অন্যদিকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন আসামি পলাতক আছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এমআই/এমএ