তিন নিয়োগ প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ মে) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।
পরে হাসনাত কাইয়ুম জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি বিভাগে একবছর আগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হলেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ওই বিভাগগুলোতে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মনজুর আরিফসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
‘ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ ওই সাত বিভাগের নতুন করে জারি করা শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। ’
রুলে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশন বোর্ডের মনোনীতদের নিয়োগের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং মনোনীতদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষা সচিব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাসনাত কাইয়ূম আরও জানান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিধান হচ্ছে সিলেকশন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে নিয়োগ দান করবে। সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশের সঙ্গে সিন্ডিকেট একমত না হলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (রাষ্ট্রপতি) কাছে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখানে তা না করে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা আইন বহির্ভূত।
জানা যায়, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাসহ ১৫টি বিভাগে ২৫ জন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী ১৫ বিভাগের মধ্যে ৭টি বিভাগের সাক্ষাৎকার-প্রক্রিয়া শেষ করেন।
কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি—এ অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক উপাচার্য বাকি আট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেননি। গত বছরের ৫ মে তার মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর ওই বছরের ১৪ জুন নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। তার যোগদানের পর তাবিউর রহমান গত বছরের ৭ আগস্ট রিটটি প্রত্যাহার করে নেন। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ওই সাত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মে ২১,২০১৮
ইএস/এমএ