কোচিং বাণিজ্যে বন্ধের নীতিমালার বিষয়ে করা এর রিট মামলার শুনানিতে রোববার (২৭ মে) এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ শিক্ষকদের রিট আবেদনে হাইকোর্টের রুল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ওইসব নোটিশ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক পৃথক লিভ টু আপিল করেন।
আপিল বিভাগে লিভ টু আপিলের ওপর রোববার শুনানি শেষে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, অনেক শিক্ষক ঢাকায় ১০-১২ বছর ধরে আছেন। এদের অনেকেই কোচিং বাণিজ্যে করছেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন, তিন বছর পর পর তো বদলি করার কথা। এ জন্য তো মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর আছে। তারা কি করছে ? ঢাকার সরকারি বিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষকেরা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, তাদের বদলি করে দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
ইএস/এসএইচ