মঙ্গলবার (২৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ ওই উপজেলার ইন্দুরিয়া গ্রামের মো. হারুন সিকদারের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) ফয়জুল হক ফয়েজ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হত্যার ঘটনার চার বছর আগে দণ্ডপ্রাপ্ত ইউসুফের সঙ্গে হিজলার মেমানিয়া এলাকার মো. ফারুক সিকদারের মেয়ে কুলসুম বেগমের বিবাহ হয়। যাদের সিফাত নামে এক শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে কুলসুমের স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছিলো।
দাবির প্রেক্ষিতে কুলসুমের বাবা ও মামলার বাদী ফারুক ফকির নগদ দুই লাখ টাকা ও এক লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু মেয়ের জামাইকে দেন। কিন্তু এতে কুলসুমের স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন সন্তুষ্ট না হয়ে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান কুলসুমের বাবা।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী (কুলসুমের বাবা) জানতে পারেন, তার মেয়ের শশুরবাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। এমন সংবাদে তিনি মেয়ের শশুরবাড়িতে গিয়ে বসত ঘরের চৌকির ওপরে মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। তিনি জানতে পারেন, তার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কুলসুম বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহত কুলসুমের বাবা মো. ফারুক সিকদার বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- কুলসুমের স্বামী ইউসুফ সিকদার, শশুর হারুন সিকদার, শাশুড়ি রাহিমা বেগম, চাচা শশুর জাহাঙ্গীর সিকদার, ননদ রোকেয়া বেগম, ননদের স্বামী হালান বেপারী।
একই বছরের ৯ মে হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামন হাওলাদার নিহত কুলসুমের স্বামী ইউসুফ সিকদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
এমএস/জিপি