একই মামলায় অপহরণের দায়ে হায়দার আলী ও মামলার অপর আসামি জিয়ারুল ইসলামকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হায়দার আলী সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের আমের আলীর ছেলে ও জিয়ারুল ইসলাম একই গ্রামের জাহাবক্সের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি হায়দার আলী, জিয়ারুল ইসলাম ও ইমন হোসেন ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ তাদের এক প্রতিবেশীর কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর দিন ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা হায়দার আলীর বাড়িতে গেলে তাদের মেয়েকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ওই বছরের ২১ মার্চ হায়দার আলীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরী ও নোটারি পাবলিকের কাগজপত্র উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করে।
মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি হায়দার আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও অপহরণের দায়ে আদালত এ রায় দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ইমন হোসেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত আসামি হায়দার আলী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই কিশোরীর নাম পরিবর্তন করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
জিপি