বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দু’দিনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত রোববার (২৪ জুন) এ রিট আবেদনটি করা হয়। এরপর দুইদিন এ রিটের ওপর শুনানি হয়।
পরে ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন বলেন, ‘ওনার (সাঈদী) চিকিৎসা দরকার এবং জেলকোড অনুসারে তিনি ডিভিশন-২ পান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে ভুগছেন। ওনার হার্টে ছয়টি রিং পরানো আছে। ’
‘কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন- সংবিধান অনুসারে যুদ্ধাপরাধীদের রিট চলতে পারে না। সংবিধানে বার (বাধা) আছে। এ কারণে রিট নট মেইনটেনেবল। ’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৮ মার্চ পৃথক দু’টি আপিল দাখিল করেন সাঈদী ও সরকারপক্ষ। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজা ঘোষিত না হওয়া ৬টি অভিযোগে শাস্তির আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আর ফাঁসির আদেশ থেকে সাঈদীর খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিপক্ষ।
আপিল শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সে সময়কার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
পরে রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে এবং দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ করে আসামিপক্ষ।
উভয়পক্ষের আবেদন খারিজ করে ২০১৭ সালের ১৫ মে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয় জনেরও বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং একশ’ থেকে দেড়শ’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরে বাধ্য করার ২০টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
ইএস/এইচএ/