সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় যৌতুক মামলায় সালাউদ্দিন সরদার (২৮) নামে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বিকেলে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৩ সালে আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সালাউদ্দিন সরদারের সঙ্গে শ্রীকলস গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে সেলিনা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় রমজান আলী জামাই সালাউদ্দিনকে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দেন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু ছেলের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন আবারও গর্ভধারণ করেন সেলিনা। পরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করেন সালাউদ্দিন। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং আদালতে মামলা করেন সেলিনা। ওই মামলায় আদালতের নির্দেশে আর নির্যাতন করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে সেলিনাকে বাড়ি নিয়ে যান সালাউদ্দিন। কিন্তু ২০১০ সালের ১৭ আগস্ট ফের সালাউদ্দিন, তার ভাই রবিউল ইসলাম, বাবা বজলুর রহমান ও মা লাইলি বেগম তার ওপর ৩০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৮ আগস্ট সেলিনার মা রেবেকা খাতুন তাদের চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আদালত তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালাউদ্দিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন এবং অপর তিন আসামিকে খালাস দেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এসআরএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।