চার্জশিট দেওয়ার জন্য মাসে মাসে দিন ধার্য করেছেন আদালত। কিন্তু গত দুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
কিন্তু তা না দেওয়ায় আগামী ২৬ জুলাই পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। বর্তমানে পুলিশের কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিট মামলাটির তদন্ত করছে।
এ মামলায় গ্রেফতার নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমসহ সাত আসামির সবাই কারাগারে রয়েছেন। অপর ছয় আসামি হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ ও ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর।
এর মধ্যে হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ ও রাকিবুল হাসান রিগ্যান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত দুই বছরে আসামি হাসনাত করিমের জন্য কয়েকবার জামিনের চেষ্টা করা হলেও অন্যান্য আসামিদের কারও জামিন চাওয়া হয়নি। তাদের আত্মীয় স্বজনরাও মামলার খোঁজ নেন না মর্মে-জানিয়েছেন আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার (জিআর শাখা) এএসআই ময়েজ উদ্দিন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় তারা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।
পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে অংশ নেওয়া ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৮
এমআই/এমএ