সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত (বিশেষ ট্রাইবুনাল ২) এর বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান মৃত্যুদণ্ডের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।
নিহতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এরা হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও মৃত্যুদণ্ডের এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নবী হোসেন জানান, এই মামলায় রায় যথার্থ হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি করছি আমরা।
২০১২ সালের ১০ আগস্ট আপন বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও তার ভাড়াটে দুই খুনি গলাকেটে হত্যা করে শিশু রিফাতকে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত। এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকেল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৮
এএটি