মঙ্গলবার (৩ জুলাই) বিকেলে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার জৈনকারকান্দি গ্রামের ইশরাদ আলী, তেরা, বাবুল, কামাল, দুলাল, নন্দিরগাওয়ের বিল্লাল মিয়া, পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ ইউনিয়নের টেকারবাড়ি গ্রামের সমছু মিয়া ও ওসমানী নগরের আকবর আলী।
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বাবুল ও বিল্লাল মিয়া পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন নন্দিরগাওয়ের ফুলবানু বেগম।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, মামলার মোকদ্দমার জের ধরে জৈনকারকান্দি গ্রামের ফয়জুর রহমানকে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে কোনো এক সময় হত্যা করে মরদেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরদিন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফয়জুরের স্ত্রী হাফসা বেগম বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার প্রাক্তন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক চৌধুরী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচারকার্য শুরু হয়ে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে নয় আসামির মধ্যে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ও একমাত্র নারী আসামিকে খালাস দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৮
এনইউ/এএটি