আদালত রিট আবেদনের পক্ষে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৪ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল হালিম। রেলওয়ের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসাদুল হক।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়। যা এখন গত বছরের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়।
রায়ে চার বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
পরে আব্দুল হালিম জানান, ৯০ দিনের মধ্যে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায় ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। বিবাদীরা ২২ অক্টোবর ওই রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি তুলেন। সেই হিসেবে ৯০ দিনের সময়সীমা পার হয়ে গেছে।
এছাড়া আপিল বিভাগে রায় স্থগিতের আবেদনেও সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ কারণে বিবাদীদের নোটিশ দেওয়া হয়।
সেই নোটিশের জবাব না দেওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ মার্চ আদালত বিবাদীদের প্রতি রুলও জারি করেছিলেন।
এ বিষয়ে আব্দুল হালিম বলেন, এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় হাইকোর্ট মঙ্গলবার রেলওয়ের ডিজিকে তলব করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
ইএস/এমএ