এ আবেদনের পর বৃহস্পতিবার (০৫ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য রোববার দিন রেখেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আপিল করা হয়। পরে জামিন আবেদনও করেন তিনি।
১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল ১৬ মে খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় দেন।
একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যে আপিল করেছেন সে আপিল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
জামিনের মেয়াদ বাড়াতে খালেদার আবেদনের পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ কে এম এহসানুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে এহসানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়েছিলেন। সে হিসেবে আগামী ১২ জুলাই চার মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে বুধবার আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই আবেদনটি মেনশন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
ইএস/এমএ/