বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান মামলার পেপারবুক থেকে এফআইআর পড়া শুরু করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।
শুনানির আগে এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে একটি আবেদন দেন। ওই আবেদন নিয়ে তিনি বলেন, পেপারবুকে অনেক তথ্য নেই। আগে এ আবেদনের নিষ্পত্তি করেন।
এরপর আদালত বলেন, আবেদনটি পরবর্তী কার্যদিবসে আসবে। আজ শুনানি শুরু করেন।
এ সময় দুদকের আইনজীবী বলেন, আপিল বিভাগ বলেছে শুনানি শুরু করতে। সুতরাং আজই শুনানি শুরু হোক। এরপর আদালত পেপারবুক নিয়ে খালেদার আইনজীবীদের শুনানি শুরু করতে বলেন। পরে খালেদার পক্ষে আইনজীবী রেজাক খান এফআইআর থেকে পড়া শুরু করেন।
এই মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চতর আদালত।
পরে খালেদা জিয়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল মামলার নিষ্পত্তিতে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদন মুলতবি রেখে আপিল বিভাগ বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শুনানি যদি শেষ না হয় তাহলে আবেদনটি বিবেচনা করবেন।
এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুইজন হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
পলাতক তিনজন হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা এ আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন।
এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল এই আদালতে শুনানি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮/আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা
ইএস/এমজেএফ