১৯ সেপ্টেম্বর সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিনও রেখেছেন আদালত। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে এ নয়জনের বিচার শুরু হচ্ছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ জুন তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন আবুল কালাম আজান। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার মামলা পরিচালনা করেন।
গত বছরের ২৯ মার্চ এই ৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
৯ আসামির মধ্যে সাতজন কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, শমসের ফকির (৬৬), মো. আব্দুস সালাম (৭৫), সুরুজ আলী ফকির (৬২), মো. জয়েনউদ্দিন (৬০), মো. আব্দুর রহিম ওরফে নুরু বিএসসি(৬৭), মো. জালাল উদ্দিন (৫৯) ও মো. রোস্তম আলী (৭০)।
আর ফজলুল হক (৫৯) ও সামসুল হক (৭০) পলাতক রয়েছেন।
২০১৬ সালের ১৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ২৯ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মো. রুহুল আমিন।
আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে আনা মোট চার খণ্ডে ৪২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। মামলায় ৫২ জন প্রসিকিউশনে সাক্ষী ও জব্দ তালিকার তিনজনসহ মোট ৫৫ জন সাক্ষী রয়েছেন।
তাদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় ১০১ জনকে খুন এবং ১২ থেকে ১৩ জনকে আহত, একজন নারী ধর্ষণ, শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ অপহরণ, আটক ও নির্যাতন এবং হত্যা ও গণহত্যার ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জামায়াত ইসলামী ও মুসলিম লীগ ছাড়াও একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
ইএস/এমএ