বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৫ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুদকের এক আবেদনের পর ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্ট এক বছরের মধ্যে বিচারিক আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে শেষ না হওয়ায় গত ২৪ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে একটি স্মারক পাঠান ।
“বিশেষ মামলা নং ১৭/২০১৬ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সময় বর্ধিতকরণ প্রসঙ্গে” শীর্ষক সেই স্মারকে বলা হয়, ‘২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ আদেশপ্রাপ্তির তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে এই মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।
‘মামলাটি সাম্প্রতিককালে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কোম্পানি লিমিটেড আত্মসাৎ করা মানিলন্ডারিং এবং অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বড় মামলা। মামলাটিতে ইতোমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়েছে এবং মোট তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটির চার্জশিটে মোট ২১৯ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে। ফলে সাক্ষ্যগ্রহণ অন্তে মামলাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির জন্য আরো কমপক্ষে একবছর সময় বাড়ানো প্রয়োজন’
খুরশীদ আলম খান বলেন, এ বিষয়টি রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণের পর তিনি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠান। রোববার আদালত বিষয়টি নিয়ে আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। আমি যতুটুক জানি ততটুকু বলেছি। এরপর আদালত ১৮ এপ্রিলের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
ইএস/এমএ