মওদুদ আহমদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজে শুনানি করেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
এই মামলায় গেলো বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মামলাটি অন্য আদালতে বদলির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। গত বছরের ২৫ জুলাই এক আদেশে মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির কার্যক্রম চলছিল।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে বিচারাধীন ছিল। সম্প্রতি তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছেন এবং বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।
হাইকোর্ট মামলাটি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত থেকে এখতিয়ার সম্পন্ন অন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। তবে কোন আদালতে বিচারের জন্য মামলাটি যাচ্ছে তা হাইকোর্টের আদেশ পেলে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
ইএস/এএ