বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটের (শিতলপুর) জব্বার গাজীর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ রাত ৯টার দিকে আলমগীর শ্যামনগর উপজেলার একটি শিশুকে (১০) রাস্তা থেকে তুলে শিতলপুরের একটি ফাঁকা বিলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে আলমগীর মেয়েটিকে শিতলপুরের জামিলা খাতুনের বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় জামিলাসহ স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরদিন চৌকিদার চিত্তরঞ্জন গাইন বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় আলমগীরের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) অনিমা রানী দাশ তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল আলমগীরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত। আসামি আত্মগোপনে আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসআই