সদ্য প্রকাশিত ৪২ খণ্ডের বাংলাদেশ কোডটি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির হাতে তুলে দেন আইনমন্ত্রী।
এবার বাংলাদেশ কোড ৪২টি খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ল’জ রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ধারা-৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন কালানুক্রমিক ও ধারাবাহিকভাবে হালনাগাদ করে ‘বাংলাদেশ কোড’ আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে। ১৭৯৯ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত প্রণীত আইনসূমহের হালনাগাদ সংকলন করে ১১ খণ্ড আকারে এটি প্রকাশ করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কানাডীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (সিডা) আর্থিক সহযোগিতায় লিগ্যাল রিফর্ম প্রকল্পের আওতায় ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় সকল আইন একত্রিত ও হাল নাগাদ করে ‘বাংলাদেশ কোড’ সংকলনের কাজ।
এ প্রকল্পের আওতায় ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম সব আইন হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড আকারে ৩৮ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়।
এরপর ২০১৩ সালের শেষ দিকে ইউএনডিপির আর্থিক সহযোগিতায় আবারও বাংলাদেশ কোড হালনাগাদ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়। সর্বশেষ ইউএনডিপির সঙ্গে সম্পাদিত প্রকল্প চুক্তি অনুযায়ী ১৭৯৯ থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ করে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড মুদ্রণ ও প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
ইএস/এমএ