সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ডা. সাইফুল্লাহ’র মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, জিয়ারুল ও মামুনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া ডা. জুলফিকার, হাসান ও মামুনের চার বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড, জালাল, বেলাল, টুকু, রহিম গাজী ও পিন্টুকে তিন বছর করে এবং সালাম ও রব্বানীকে এক বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের একটি গভীর নলকূপের পানি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। পানি বিতরণের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি ওই গ্রামের আলিমুদ্দিন সরদার।
২০১৪ সালের ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে পানি বিতরণকে কেন্দ্র করে আশাশুনির বাঁকড়া গ্রামের পানি বিতরণ কমিটির সভাপতি আলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলিমুদ্দিন সরদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক লুৎফর রহমান ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের উল্লেখিত সাজার আদেশ দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তপন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছাড়া আর সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
আরএ