জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) রুলসহ এ আদেশ দেন।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আদেশে বলা হয়, দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে হবে।
রুলে চলমান হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, তাদের সেবার বিষয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সকল জেলা সদরের হাসপাতালে আইসিউ/সিসিইউ স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
পরে মাসুদ হাসান চৌধুরী বলেন, অর্ডিন্যান্স অনুসারে কেন বেসরকারি ক্লিনিক মনিটর করা হবে না, কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না, এই মর্মে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই রুলস তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন। ৬০ দিনের মধ্যে সরকার কমিটি গঠন করবে নীতিমালা তৈরির জন্য।
হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধক্ষ্য মো. শাহ আলম এ রিট দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ