বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ হরিদাস কুমারের আদালতে সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরীর মাধ্যমে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় মামলায় ফয়জুল হাসান ফয়েজ ও তার মা-বাবা, ভাই, মামা ও বন্ধুসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন-ফয়জুল হাসান ফয়েজ, তার বন্ধু মো. সোহাগ মিয়া, ফয়েজের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মোছাম্মৎ মিনারা বেগম, মামা মো. ফজলুর রহমান ও ফয়েজের ভাই এনামুল হাসান।
এর আগে বুধবার (২৫ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্তের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে পরিতোষ ঘোষ বলেন, মামলার প্রধান আসামি ফয়জুল হাসান নিজেই জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং ৩/৪ মাস থেকেই জাফর ইকবালকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এ ঘটনায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন ফয়জুল।
তিনি বলেন, জসিম উদ্দিন রাহমানী, তামিম উদ্দিন আদনানী এবং ওলিপুরী হুজুরের ওয়াজ শুনে ফয়জুল জিহাদের ব্যাপারে প্রভাবিত হন। এছাড়া জসিম উদ্দিন রাহমানীর লেখা ‘উন্মুক্ত তরবারি’ পড়ে এবং তিতুমীর মিডিয়ার ভিডিও দেখে তিনি ধারণা করেন জাফর ইকবাল নাস্তিক।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এক বছর আগে ফয়জুর জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এজন্য তিনি নগরের আল হামরা মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত একটি দোকান থেকে ছুরি কেনেন।
চলতি বছরের ৩ মার্চ বিকেলে শাবিপ্রবির মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভালের সমাপনী অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল। পরে জাফর ইকবালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১৪ মার্চ তিনি সিলেটে ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৮
এনইউ/আরআর