শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে তাদের শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার জোলগাঁও এলাকায় আলফাজ দেওয়ানীর ছেলে হযরত আলী ওরফে বাসু মেম্বারের (৪২) বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ হাতে নাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাসু এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী। সহোদর ভাইকে হত্যার অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এদিকে জেলার নালিতাবাড়ী থানায় দায়ের করা চাচীর হাত কেটে ফেলার মামলায় ভাতিজা জাহাঙ্গীরকে (২৮) গ্রেফতার করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নন্নী পশ্চিমপাড়া পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে মসজিদে আশ্রয় নেয়া চাচী অবিরণ বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হাত কেটে ফেলে, পরে ওই ঘটনায় স্বামী জিয়াউল হক বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় গত ১৪ জুন মামলা দায়ের করলে শুকবার রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে মামলা প্রধান আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জাহাঙ্গীর নন্নী পশ্চিমপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। মামলা অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আশরাফুল আজীম।
ফেসবুকে অন্যের নামে আইডি খুলে ধর্মীয় অবমাননার করায় শাহ আলম (২৩) নামে একজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। শাহ আলম নরসিংদী জেলার মনহরদি উপজেলার গুদারাঘাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নারায়নগঞ্জের পাগলা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শেরপুর সদর উপজেলার কুমরী গ্রামের শরিফ মিয়া নামে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এসআরএস