এছাড়া ধর্ষণের পর মরদেহ গুমের অপরাধে অপর একটি ধারায় চার আসামির প্রত্যেককে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দশহাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (৫ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম জুলফিকার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার এরালিগুল গ্রামের আবুল উদ্দিন, বাবুল উদ্দিন, রাসেল আহমেদ ও সাদিক উদ্দিন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের ২৫ মে বান্ধবি ফারজানার বাড়িতে বেড়াতে যায় সুলতানা। ওই দিন ফারজানার ভাই আবুল উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা বাড়ির পাশে একটি টিলায় কাজ করছিলেন। এ সময় আবুল উদ্দিন তার বোন ফারজানাকে খাবার জন্য পানি আনতে বলেন। কিন্তু ফারজানা না গিয়ে সুলতানাকে পানি দিয়ে পাঠায়। আসামীরা শিশুটিকে একা পেয়ে গণধর্ষণ করে মরদেহ গুম করতে মাটি চাপা দেয়।
সুলতানা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সুলতানার স্বজনরা মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সুলতানা ভাই একলিম উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দালিল করেন। আদালত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এনইউ/আরআইএস/