মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামের মৃত হলুদ আলী গাজীর ছেলে দীন মোহাম্মদ গাজী (৫৫) ও তার ছেলে ওমর আলী গাজী (৩৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া গ্রামের দীন মোহাম্মদ গাজীর ছেলে ওমর আলী গাজীর সঙ্গে একই উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে আমেনার বিয়ে হয়। বিয়ের একমাস পরেই তাদের সংসারে অশান্তির খবর পান আব্বাস উদ্দিন। এরপর ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিয়াই দীন মোহাম্মদ গাজী হঠাৎ তাকে মোবাইল ফোনে খবর দেন তার মেয়ে আমেনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না— সে কোথায় পালিয়ে গেছে।
এর তিনদিন পর ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি চান্দুড়িয়া সীমান্ত সংলগ্ন ইছামতি নদী থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই কলারোয়া থানায় আমেনার স্বামী-শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোলায়মান আক্কাস ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে তিনজনের নামে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আমেনার স্বামী ওমর আলী গাজী ও শ্বশুর দীন মোহাম্মদ গাজীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমেনার শ্বাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওসমান গনি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮ আপডেট সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা
এসআই/জিপি