পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল এর বিচারক (জেলা জজ) আবদুল মান্নান এ রায় দেন।
আজাদ হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার স্ত্রী সেলিনা পাশের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সাউথেরখিল গ্রামের শামছুল হক ভুঁইয়ার মেয়ে।
মামলার বরাত দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর হাবিবুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, যৌতুক নিয়ে ২০০৯ সালের ২৭ মে রাত আড়াইটার দিকে নিজেদের ঘরে আজাদ ও সেলিনার মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আজাদ ঘরে থাকা গরম পানি সেলিনার গায়ে ঢেলে দিলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। ওই সময় সেলিনার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ২৮ মে সেলিনার বড় বোন স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আজাদকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা নম্বর-২০। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর রহমান তদন্ত শেষে একই সালের ২৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোমবার এ রায় দেন আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসআই