সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুরের স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এমএ নূর এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের মাঞ্জান আলীর ছেলে আবু মাসুম ওরফে মাসুদ (৩০), একই উপজেলার পূর্ব চাঁদগাঁও গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও আব্দুল জব্বারের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে আবু মাসুম ওরফে মাসুদ পলাতক। মাসুদ নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি, দেলোয়ার সাধারণ সম্পাদক ও রবিউল সক্রিয় কর্মী।
অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ওই মামলার অপর ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
চাঞ্চল্যকর মামলাটির রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রায়ের পরও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বিশেষ নিরাপত্তায় শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। তিনি বাংলানিউজকে জানান, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর ২০১৫ সালের ৪ জুন বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ জামে মসজিদে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠকে মিলিত হন এলাকার জামায়াত-শিবির নেতারা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মাসুদ, দেলোয়ার ও রবিউলকে রাষ্ট্রবিরোধী জিহাদী বই ও লিফলেটসহ আটক করে। ওই সময় বৈঠকে অংশ নেওয়া বাকি সদস্যরা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় একই দিন নালিতাবাড়ী থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসদমন আইনের ৬(২)/(ঈ) ও ১৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ২০১৬ সালের ৫ মে ওই তিন শিবির নেতাসহ জামায়াত-শিবিরের নয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামিরা বিভিন্ন পর্যায়ে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে গেলেও বিচারিক পর্যায়ে মাসুদ দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় গত ২৪ জুন তার জামিন বাতিল হয়। ওই মামলায় বাদী, স্থানীয় সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ আটজনের জবানবন্দি ও জেরা শেষে সোমবার এ রায় দেন আদালত।
আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসআই