মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন।
হত্যার শিকার খোদেজা বেগম পাথৈর গ্রামের কলওয়ালা বাড়ীর কৃষক মো. ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খোদেজা বেগমের সঙ্গে তার ননদ নেহার আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা খোদেজার দেবর মহরম আলী ক্ষীপ্ত হয়ে তার তলপেটে সজোরে লাথি মারেন। এতে খোদেজা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে খোদেজার স্বামী ইউনুছ মিয়া ক্ষেত থেকে বাড়িতে এসে দেখেন খোদেজা মাটিতে শুয়ে আছে, বাড়িতে বহু মানুষের ভীড়। তাৎক্ষণিক তিনি পার্শ্ববর্তী খিলা বাজার থেকে পল্লী চিকিৎসক বাবুল দাসকে বাড়িতে এনে খোদেজাকে দেখালে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কৃষক ইউনুছ মিয়া ওইদিনই শাহরাস্তি থানায় ভাই মো. মহরম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহরমকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান ওই বছর ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি দীর্ঘ ৫ বছর চলমান অবস্থায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ইকবাল-বিন-বাশার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
আরএ