মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুজ্জামান রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার ভোরে কালিহাতী উপজেলার বেনুকুর্শা গ্রাম থেকে এরশাদকে (৪০) গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তে টহলরত পুলিশের দল ওই এলাকার নৈশপ্রহরীর মাধ্যমে জানতে পারে যে বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে নারীর কান্না শোনা যাচ্ছে। এসময় পুলিশ দ্রুত বাসটিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী এক নারীকে উদ্ধার করে। ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই বাসের চালকের সহকারী নাজমুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন (শুক্রবার) উপপরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম বাদী হয়ে বাসের চালক আলম খন্দকার ও আটক নাজমুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চালক আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণ এবং সহকারী নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। এসময় তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। নাজমুলের জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে সুপারভাইজার এরশাদেরও জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
সোমবার ওই নারীকে তার ভাই নিজের হেফাজতে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এসআই