তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
পরে সারা হোসেন বলেন, আদালত আদেশ দিয়েছেন ড. শহিদুল আলমকে যেন জেলখানায় ডিভিশন দেওয়া হয়। সামাজিক অবস্থান এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ডিভিশন দিতে হয়। শহিদুল আলমের পক্ষে ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করি। ওনাকে যেন প্রথম শ্রেণীতে রাখা হয়। আদালত আদেশও দিয়েছেন যেন কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ওনার জামিনও হয়নি। তাই হাইকোর্টে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন ওনাকে যেন প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট (রোববার) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
মামলায় তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে ৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তার জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
ইএস/জেডএস