বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার পক্ষে আইন সচিব বরাবরে এ নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।
এ বিষয়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এ প্রজ্ঞাপন আইন ও সংবিধান পরিপন্থি।
এর আগে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ওইদিন সন্ধ্যায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ এ গেজেট প্রকাশ করে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ওই গেজেটে বলা হয়, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হবে।
এদিকে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিলো।
কারাগারের ভেতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, পুরাতন কারাগারের প্রশাসনিক ব্লকে বিশেষ আদালত বসেছিলো। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের না দেখে আদালতও কিছুক্ষণ সময় নিয়েছেন, আমিও তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এক পর্যায়ে আদালত মনে করেছেন শুনানি একতরফা না হয়ে যায় তাই চলতি মাসের ১২-১৩ তারিখে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে এসেছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন- তিনি অসুস্থ, তার পায়ে ব্যথা, তিনি বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারবেন না। এ পরিস্থিতিতে তার আইনজীবীরা না থাকায় শুনানির কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
ইএস/জেডএস