বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫ ও ৩৪ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শরিফুল ইসলাম। চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের সেই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও তার সহকারী এনায়েত হোসেন এবং বাসটির মালিক শাহাদাত হোসেন। ওই বাসটি যে বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল ওই বাসের চালক জোবায়ের সুমন ও চালকের সহকারী কাজী আসাদ এবং বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম।
আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকলেও আসামি সোহাগ আলী ও রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলায় দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জাবালে নূরের অপর বাসটির চালকের সহকারী কাজী আসাদ এবং বাসটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম পলাতক রয়েছেন।
৩০৪ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনার এক মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষে এ চার্জশিট দাখিল করা হলো।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামি মাছুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমনের হালকা যান কার, জিপ ও মাইক্রোবাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিক থাকলেও ৪১ সিটের বাস চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া জব্দ তিনটি বাসের কোনটিতে কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, বাসের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগের এখতিয়ার বাস মালিকের। ওই মামলার আসামি ড্রাইভার ও হেলপারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং বুদ্ধিমত্তা যাচাই ছাড়াই মালিক শাহদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের নিয়োগ দেন।
গত ২৯ জুলাই সকালে জাবালে নূরের দু’টি বাস আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার সময় পাল্লাপাল্লি করে বেশি যাত্রী ও বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় দ্রুত, বেপরোয়া গতিতে চালাতে শুরু করে।
ড্রাইভার জোবায়েরের বাসটি ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ বাসটিকে পেছনে ফেলে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালের সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ডান দিকে রাস্তা ব্লক করে যাত্রী ওঠাতে থাকেন।
১১টা ৩০ মিনিটে মাসুম বিল্লাহ’র বাসটি ডান দিক দিয়ে যেতে না পেরে বাম দিক দিয়ে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছায় বাসের জন্য অপেক্ষমাণ শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর উপর তুলে দেয়। এতে ১৩/১৪ জন গুরুতর আহত হয়। যাদের মধ্যে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম গত ২৯ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এমআই/এএ