জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মোহাম্মদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীত বাবর রোড ও খিলজি রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সহীন হাসপাতালের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
‘আজ (মঙ্গলবার) ওই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট লাইসেন্স প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে এ ১৪টি হাসপাতাল অনতিবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশ পালন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ’
যদিও প্রথমে মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, ১৪ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে রাতে সংবাদমাধ্যেমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ১৪টি হাসপাতাল লাইসেন্স প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রুলে লাইসেন্স ছাড়া বা অনুমোদনহীনভাবে পরিচালতি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে পরিচালিত এই ১৪টি হাসপাতালের পরিচালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বিডিএম হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়েল মাল্টিস্পেশালিস্ট হসপিটাল, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা মেন্টাল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন হসপিটাল, মনমিতা মেন্টাল হসপিটাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হসপিটাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হসপিটাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজইড হসপিটাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮/আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস/এমএ