বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. বজলুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মনজু, ছোট মিস্টার, আরিফ ও মাসুদ।
আসামিদের মধ্যে দুই ভাই সফিকুল ও মনজু এবং ছোট মিস্টার কারাগারে আছেন। বাকি আরিফ ও মাসুদ জামিনে বের হয়ে এখন পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, গ্রেফতারের পর আরিফ ও মাসুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের মালোপাড়া বরিশুর বাজার এলাকায় নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশু পুত্র খোকন (০৯) ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে এসে দোকানে ঘুমিয়ে পড়েছিল। পরে রাত ৩ থেকে ৪টার দিকে আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট বাকি চান। এসময় শরীফ বাকি দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা ও চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন।
এতে তার চিৎকারে দুই শিশু জেগে উঠে এগিয়ে আসে বাবাকে বাঁচানোর জন্য। এসময় তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন আসামিরা।
পরে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তার ছেলে খোকন মারা যান।
এ ঘটনায় শরীফের আরেক ছেলে আব্দুর রহিম বাদি হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
পরে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই ওই পাঁচ আসামিকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
একপর্যায়ে আসামিরা এ মামলায় আপিল করলে উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতকে আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে পুনরায় বিচার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআই/টিএ