বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে হাজির হয়ে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী শুনানি শেষে রায় স্থগিতের আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওই তিনজনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিনিয়র সহকারী জজ সাবরিনা চৌধুরী।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আশাশুনি সদর ভূমি কার্যালয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি জায়গায় সরকারি সিদ্ধান্তে প্রাচীর দেওয়া হয়। প্রাচীর দেওয়ার সময় স্থানীয় ননি বালা হালদার বাধ সাধেন। তারা ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন উল্লেখ করে প্রাচীর না দেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেন। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। ওই সময় তিনি আদালতে প্রাচীর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার এক মাস পর আদালত প্রাচীর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এ আদেশ পেয়ে ননি বালা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে আদালতে ফের মিস কেস করেন। ওই মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা অমান্যের দায়ে সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, আশাশুনির সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার একই আদালতের বিচারক মামলাটির কার্যক্রম আগামী এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও আশাশুনির সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুষমা সুলতানা বর্তমানে নরসিংদির এডিসি হিসেবে কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআই