রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদ হোসেন বলেন, আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আইটি সংক্রান্ত বিষয়ে তারা যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে বিদ্যমান আইন সম্পর্কেও তারা অনেক কিছু জেনেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ প্রশিক্ষণ কোর্স তাদের আইটি সম্পর্কের ধারণাকে আরও বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করবে। এতে অফিসের কাজের গুণগতমান বেড়ে যাবে। প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের এ অর্জিত জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বহুলাংশে সার্থক হবে। কাজের গুণগতমান পূর্বের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে একটি প্রশিক্ষিত ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন জনবল ছাড়া কোনো দক্ষ প্রশাসন গঠন করা সম্ভব নয়। দক্ষতা অর্জনের জন্য যুগোপযোগী ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি সুবিন্যস্ত মামলা ব্যবস্থাপনা এবং দাফতরিক কর্ম-পরিকল্পনার সক্ষমতা অর্জনসহ সামগ্রিক দক্ষতা লাভ করে।
ইউএনডিপির সহযোগিতায় আপিল বিভাগে কর্মরত ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ‘লিগ্যাল অ্যান্ড আইসিটি টেনিং ফর ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অব সুপ্রিম কোর্ট স্টাফ ফর ইফিশিয়েন্ট কেস ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
ইএস/আরআইএস/