ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সিনহা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
‘সিনহা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন’

ঢাকা: দুর্নীতিসহ ১১টি অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সদ্য প্রকাশিত বইয়ের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচারপতি সিনহা যা করছেন, এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নিজেই নষ্ট করছেন।

মাহবুবে আলম বলেন, তিনি প্রধান বিচারপতি থাকার সময় তার সঙ্গে যারা বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন তাদের সম্পর্কে কোনরকম কূট মন্তব্য করা বা নানা রকম বাজে কথা বলা খুবই অগ্রহণযোগ্য এবং এই কাজটা করে তিনি নিজেই বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন বিচারপতি এস কে সিনহা। তার বই পাওয়া যাচ্ছে বেচাকেনার অনলাইন প্লাটফর্ম আমাজনে।

২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক এই প্রধান বিচারপতি তার বইয়ে দাবি করেন, তিনি হুমকির মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হল, বিচারপতি সিনহা যা করছেন এটা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি তিনি নিজেই নষ্ট করছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি থাকার সময় তার সঙ্গে যারা বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন তাদের সম্পর্কে কোনরকম কূট মন্তব্য করা বা নানারকম বাজে কথা বলা খুবই অগ্রহণযোগ্য এবং এই কাজটা করে তিনি নিজেই বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। ’

মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই সরকারের আমলে অনেক বিচারপতি কাজ করে গেছেন। তাদের কেউ তো সরকারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি! তিনি (এস কে সিনহা) তো স্পষ্ট করেননি, কেন তার সঙ্গে তার সহকারী বিচারপতিরা একসঙ্গে বসতে (আপিল বেঞ্চে) চাননি। অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে কেন বসতে চাননি সেই কারণগুলো তো তিনি বলেননি? সেগুলো তিনি যদি উল্লেখ করেন তবে দুর্গন্ধ আরও ছড়াবে। সেগুলোতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি আরও নষ্ট হবে। ’

বিচারপতি এস কে সিনহার প্রকাশিত বইয়ে আদালত অবমাননার মত কোনো উপাদান আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বইটিতে যদি কোন বর্তমান বিচারপতি সম্পর্কে কোন কথা বলা হয়ে থাকে এবং তারা (বিচারপতিরা) যদি মনে করেন তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।