বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ আবেদনের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পাশাপাশি এ আবেদনে মামলার বিচার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অবস্থিত ৫ম বিশেষ জজ আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই যুক্তিতর্ক শুনানি চলবে আদেশ দেন।
মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।
সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
বৃহস্পতিবারের আদেশে আদালত বলেন, ‘মামলাটা পৌনে দুই বছর যাবত যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে আছে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। অন্য আসামিরাও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ’
এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই অন্যান্য আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত।
এ আদেশের পর দুপুর দেড়টার দিকে আদালত বিরতি দেন। দুপুর ২টায় আবার বসবে আদালত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ওই গেজেটে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে তারিখ পড়লেও অসুস্থ থাকায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
ইএস/এসএইচ